বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপালের মধ্যে আন্তঃদেশীয় বাণিজ্য বৃদ্ধি নিয়ে শনিবার মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এমসিসিআই) মিলনায়তনে এই সভা হয়। সেলিম রায়হান তার উপস্থাপনায় দেখান, আট বছরে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মালদ্বীপ, পাকিস্তান, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে বাণিজ্য দশমিক আট শতাংশ বেড়ে ২০১৪ সালে ৫ দশমিক ৫ শতাংশে উঠেছে।এর মধ্যে আমদানি দশমিক ৬ শতাংশ বেড়ে ৪ দশমিক ৫ শতাংশে উঠেছে, রপ্তানি ১ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে ৭ শতাংশ হয়েছে।
এই আট দেশের মধ্যে তুলনামূলক বিচারে ভারত সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে; দেশটি ২০০৬ সালে তার আমদানির দশমিক ৮ শতাংশ আসতো সার্কভুক্ত দেশগুলো থেকে, ২০১৪ সালে কমে দশমিক ৬ শতাংশে নেমেছে। অন্যদিকে এই দেশগুলোতে রপ্তানি ৫ দশমিক ২ শতাংশ থেকে ৫ দশমিক ৮ শতাংশে উন্নীত করেছে।
একই চিত্র পাকিস্তানের ক্ষেত্রেও; আমদানি ৪ দশকি ৪ শতাংশ থেকে কমে ৪ দশমিক ২ শতাংশে নেমেছে। আর রপ্তানি ৯ দশমিক ৪ থেকে বাড়িয়ে ১২ দশমিক ৮ শতাংশে উন্নীত করেছে দেশটি। কিন্তু বাংলাদেশ হাঁটছে উল্টোপথে; আমদানি ১৩ দশমিক ১ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫.৮ শতাংশে। অন্যদিকে রপ্তানি ২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ১ দশমিক ৯ শতাংশে নেমেছে।
আরেক হিসাবে সেলিম রায়হান দেখান, এই সময়ে সার্কের মধ্যে ১৫ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হয়েছে, যার ৪৩ শতাংশ অবদান ভারতের। রোববার পর্যন্ত চলমান এই আলোচনায় আলোচনায় অংশ নেবেন বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান ও নেপালের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও ব্যবসায় সংগঠনের নেতারা।
সুত্র:বিডিনিউপ২৪.কম