রচনা লিখে যুক্তরাষ্ট্রে তনিমা আফরোজ
পেকুয়ার গর্ব তনিমা। জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদিতা নিয়ে রচনা লিখে বাংলাদেশের সেরা হয়ে এখন মার্কিনমুল্লুকে দেশের প্রতিনিধিত্ব করবে সে। সেখানে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের সামনে বক্তব্য দেবে।
কক্সবাজার পেকুয়া উপজেলার মেয়ে তনিমা আফরোজ। পড়ছে উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষে। শহীদ জিয়াউর রহমান উপকূলীয় কলেজে। একটি রচনা লেখার প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে সে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে একটা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতেরা হাজির থাকবেন। থাকবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদিতা নিয়ে রচনা লিখেছিল তনিমা। এই বিষয়েই বক্তব্য দেবে সে।
তনিমার মা-বাবা দুজনই পোশাক কারখানায় কাজ করেন। চাকরির সুবাদে থাকতে হয় চট্টগ্রাম শহরে। মা-বাবা কাজে চলে গেলে তনিমা বাসায় একা থাকবে, তাই তিন মাস বয়স থেকে তনিমা থাকে তার নানুর সঙ্গে কক্সবাজারে। নানুর কোলেপিঠে তার বেড়ে ওঠা।
কীভাবে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার সুযোগ হলো? এবার সেই গল্পটা বলি।
মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের কয়েকজন কর্মী গিয়েছিলেন তনিমাদের কলেজে। তাঁরাই জানিয়েছেন এই রচনা প্রতিযোগিতার কথা—প্রতিযোগিতা হবে বিশ্বব্যাপী, ইউরোপীয় ইউনিয়ন চ্যাম্পিয়ন নির্বাচন করবে, রচনার বিষয় জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদিতা এবং ভাষা হতে হবে ইংরেজি।
মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের কর্মসূচী সমন্বয়ক আবদুল্লা আল মামুন বলেন, ‘তরুণ আলো নামে একটা প্রকল্পের আওতায় আমরা তরুণদের মধ্যে জঙ্গীবাদ ও উগ্রবাদ বিরোধী সচেতনতা গড়ে তুলতে চেষ্টা করছি। এই প্রকল্পের অধীন কলেজগুলোর শিক্ষার্থীদের আমরা রচনা প্রতিযোগিতার কথা জানিয়েছিলাম। জিসিইআরএফ নামে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা এই প্রতিযোগিতার আয়োজক।’
ছোটবেলা থেকে তনিমার ইংরেজি লিখতে ও পড়তে ভালো লাগে। ভালো লাগাটাকে কাজে লাগানোর সুযোগ সে লুফে নিয়েছিল। রচনার বিষয়টা আমাদের দেশের জন্য প্রাসঙ্গিক। তাই সে লিখতে কার্পূর্ণ্য করল না। ফলে হলে গেল বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন।’
তনিমার বই পড়তে ভালো লাগে । প্রিয় লেখক সমরেশ মজুমদার, মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও আনিসুল হক। সময় পেলেই বই পড়ে সে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার ইচ্ছা তার। তনিমার ভাষায়, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পারলে একটা প্ল্যাটফর্মে কাজ করার সুযোগ পাব। সারা দেশটাকে এক জায়গা থেকে দেখতে পারব।’
অভিনন্দন তনিমা, শুভকামনা তোমার জন্য। গর্বিত করেছো পুরো দেশকে। এখন তোমার সাফল্য দেখতে মুখিয়ে আছি আমরা।