মহেশখালীতে এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ চূড়ান্ত ধাপে
মন্ত্রিসভার সায় পাওয়ার পর কক্সবাজারের মহেশখালী দ্বীপের কাছে ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণে সামিট এলএনজি টার্মিনাল লিমিটেডের সঙ্গে চূড়ান্ত চুক্তি করেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার পেট্রোবাংলার বোর্ড রুমে ‘দ্বিতীয় মহেশখালী ফ্লটিং এলএনজি টার্মিনাল’ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এবং সামিট এলএনজি টার্মিনাল কোম্পানি লিমিটেডের চুক্তি সই হয়।
টার্মিনালটির ব্যবহার নিয়ে আলাদা আরেকটি চুক্তি সই হয় পেট্রোবাংলা ও সামিট এলএনজি টার্মিনাল কোম্পানির।
গত জানুয়ারিতে অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এই এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের চুক্তিতে সম্মতি দেওয়া হয়েছিল।
জিওফিজিক্যাল স্ট্যাডি, ডিটেইল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিজাইন প্রণয়নের পর নির্মাণ কাজ শুরু করে ২০১৮ সালের শেষ দিকে গ্যাস সরবরাহ শুরু করা যাবে বলে আশা করা যায়, বলা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
এক লাখ ৩৮ হাজার ঘনমিটার এলএনজি ধারণ ক্ষমতার এই এফএসআরইউ থেকে দৈনিক ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস সরবরাহের সক্ষমতা থাকবে এই টার্মিনালের।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব নাজিমউদ্দিন চৌধুরীর সভাপত্বিতে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান আবুল মনসুর মো. ফয়েজউল্লাহ ও সামিট এলএনজি টার্মিনালের পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের পক্ষে উপ-সচিব জনেন্দ্র নাথ সরকার এবং পেট্রোবাংলার পক্ষে সংস্থার সচিব সৈয়দ আশফাকুজ্জামান চুক্তিপত্রে সই করেন।
সামিট এলএনজি টার্মিনালের পক্ষে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এন এম তারিকুর রশিদ ও কোম্পানির দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি পিটার ম্যাকি সই করেন চুক্তি দুটিতে।